আর্কাইভ থেকে রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াত সাঈদীর মৃত্যুকে অজুহাত করে সহিংসতা শুরু করেছে: মেনন

‘বিএনপি-জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কখনই সন্ত্রাস-সহিংসতা ও মিথ্যা প্রচার ছাড়ে নাই। সম্প্রতি নির্বাচনকে সামনে রেখে সাঈদীর মৃত্যুকে অজুহাত করে যুদ্ধাপরাধের পক্ষে প্রচার ও সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।’ বললেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় ওয়ার্কার্স পার্টি কার্যালয় প্রাঙ্গণে ১৭ আগস্ট মেনন হত্যা প্রচেষ্টার ৩১তম বার্ষিকীতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ এর কর্মসূচিতে ওয়ার্কার্স পার্টির চিকিৎসা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ আয়োজিত রক্তদান ও হেপাটাইসিস বি ও সি স্ক্রীনিং কর্মসূচিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেনন বলেন, ‘নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল তাকে পথভ্রষ্ট করতে একইভাবে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা প্রচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতা ১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে আমাকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছিল। দেশবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদে আমি বেঁচে গেলেও আজ পর্যন্ত ঐ হত্যা প্রচেষ্টার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়নি। আজ এত বছর পরে সেই হত্যা প্রচেষ্টা স্মরণ করে বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রতিক দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন যে বিদেশি জুজুর ভয় দেখিয়ে এদেশের মানুষকে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুৎ করা যাবে না।’

পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে ও মোস্তফা আলমগীর রতনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হেপাটোলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল, ইএনটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, অর্থনীতিবিদ এম এস সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, গতকাল ১৭ আগস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির সন্ত্রাসবিরোধী দিবসে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেট, বরিশাল, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নিলফামারী, খুলনা নগর ও জেলা, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন