কাদের মোল্লা-সাঈদীর বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডা. জাফরুল্লাহ
প্রধানমন্ত্রী কিছু কিছু ভালো কাজ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন প্রশংসা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করেছেন এটা প্রশংসনীয়। কিন্তু দুটি কাজ ভুল করেছেন তিনি। একটি আব্দুল কাদের মোল্লা, আরেকটি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচারটা সঠিক হয়নি। এজন্য আপনি যতটা দায়ী, তার চেয়ে বিচারকরা বেশি দায়ী বলে মন্তব্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপ) আয়োজিত রাজবন্দীর মুক্তি দাও শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাঈদী আমার প্রিয় মানুষ নন। অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি হুমায়ূন আহমেদের বাবা পুলিশ অফিসারকে হত্যা করেছেন। হুমায়ূন আহমেদের মা একটি বই লিখেছেন, তিনি সাঈদীকে অভিযুক্ত করেননি। তিনি এখনও জেলে আছেন। এটি খুবই খারাপ কাজ। যেমনভাবে আপনি (শেখ হাসিনা) বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছেন, তাও ঠিক নয়।
তিনি বলেন, আলেম-ওলামা ও মামুনুল হক বাদে যাদের আটক করে রেখেছেন তারাও নির্দোষ। আজ আলেম সমাজরা রাস্তায় নামেন না। তারা যদি রাস্তায় নামেন, তাহলে আমিও তাদের সাথে থাকব।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, জনগণের মধ্যে প্রচলিত আছে, গত কয়েক বছরে লবিস্টের জন্য জয় ৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। এর উত্তর সরকারের দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে সেলফোন আছে, তা থেকে সরকারের যা আয় হয়, সেখান থেকে সাড়ে ৭ ভাগ ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস পায়। যার প্রধান বাংলাদেশে সালমান এফ রহমান এবং আমেরিকায় হলেন জয়। এটা সত্য কি না, সরকারের উচিত তা প্রকাশ করা।
প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২২ সাল ঘটনাবহুল হবে। ২০২২ সালে অনেক কিছু দেখতে পাবেন। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শুরু হয়েছে মাত্র। আরও অনেক ঘটনা বাকি, এই সাল হবে ঝঞ্ঝার, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। সেখানে সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। মাঠে নামার প্রস্তুতি নিন। যে আন্দোলনে আলেমরাও থাকবেন, আমরাও থাকব, জিন্সের প্যান্টও থাকবে, পাঞ্জাবিও থাকবে। আর সেটি হবে গণ আন্দোলন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কখনও নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হননি। তার এ জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। যে টাকা খরচই হয়নি উল্টো বেড়েছে, তার জন্য তাকে দিনের পর দিন তাকে জেলে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থা আর কতদিন চলবে, এরও অবসান হবে।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপির) চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান নারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, গণফোরামের মহাসচিব সুব্রত চৌধুরী, সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আরো অনেকে।
মুক্তা মাহমুদ