আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

গহীন অরণ্যে অস্ত্র কারখানা

কক্সবাজারের এক গহীন অরণ্যে উপকূলীয় এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আবদুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে আটটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ঝুমপাড়া এলাকার আবদুল হামিদের ভাই আবদুল গফুর, বাদশা ও নাপিতখালী এলাকার আমিরুলকেও আটক করা হয়। 

গেলো বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পেকুয়ার টৈটংয়ের ঝুমপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এমএ ইউসুফ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে জানা যায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র তৈরি ও কেনা-বেচা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হতো। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছয়টি একেবারেই নতুন। সর্বশেষ গত দুইদিন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও আবদুল হামিদ পালিয়ে যায়। 

গেলো মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭-এর একটি টিম পেকুয়ায় এই অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে অভিযান শেষ করে। আটক তিনজনের মধ্যে ডাকাত আমিরুল একজন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর। ওই এলাকায় ১১টি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি পাহাড়ে এই বাহিনীর আস্তানা পাওয়া যায়।

লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এমএ ইউসুফ আরও জানান, দুর্গম এই এলাকাটি চট্টগ্রাম কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।

এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীর সর্দার কবির আহমদ ও তার ১৪ সহযোগীকে আটক করে র‌্যাব-৭-এর একটি টিম।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন