নায়ক রিয়াজ যা বললেন শ্বশুরের আত্মহত্যা নিয়ে
বুধবার ((৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া নয়টার দিকে নিজের হতাশা কথা জানিয়ে নায়ক রিয়াজের শ্বশুর মহসিন আত্মহত্যা করেন।
লাইভে কথা বলার সময় তার সামনে টেবিল ছিল। ওই টেবিলে কাফনের কাপড় ছিল। এর ওপর একটি চিরকুটে লিখা ছিল- ‘এখানে কাফনের কাপড় রাখা আছে। যা আমি ওমরা হজে ব্যবহার করেছিলাম। যারা দেখছেন, তাদের সাথে এটাই শেষ দেখা।
শ্বশুর আবু মহসিন খানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন রিয়াজ। তিনি তার শ্বশুরের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে যান রিয়াজ। সেখানে তার শ্বশুরের ময়নাতদন্ত হয়।
মর্গ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা মুখোমুখি হলে রিয়াজ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আপনারা আমার বাবার (শ্বশুর) জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন। বেহেশত নসিব করেন। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারছি না।
রিয়াজ বলেন, বাবার মরদেহ প্রথমে ধানমন্ডিতে ওনার নিজের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বাদ আছর ধানমন্ডি ৭ নম্বর মসজিদে জানাজা শেষে মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ব্যবসায়ী মহসিন ধানমন্ডির বাসায় একাই থাকতেন। নিজের পিস্তল দিয়ে তিনি নিজের মাথায় গুলি করেন।
আত্মহত্যার আগে ভিডিও লাইভে মহসিন তার সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনা আর রোশনকে বলবো- বাবা তোমরা একটা ভাই একটা বোন। একেঅপরের খুঁজ নিও। বাবা হিসেবে আমাকে ক্ষমা করে দিও।
তিনি আরও বলেন আমার একমাত্র ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকে। খালা মারা যাবার পর আমার ভয় করছে। আমি আমার বাসায় একা থাকি। আমি মরে গেলে কেউ জানতেও পারবে না।
তিনি বলেন, আমার আত্মীয়রা যারা আছেন, তাদেরকে বলবো তারা আমাকে ক্ষমা করবেন। যারা লাইভে দেখছেন তাদের সাথে আমার শেষ দেখা।
তিনি বলেন, আমার আসলে পৃথিবীর মানুষের কাছে প্রতারিত হয়েছি। আমি এ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রতারিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কিছুদি আগে মারা খালা মারা যান তার ছেলে আমেরিকায় থাকে, কিন্তু আসেনি।আমাকে এটি কষ্ট দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত করোনা শুরু আগে আমি দেশে থাকি। একা থাকা যে কত কষ্ট তা আমি বুঝি।
মহসিন বলেন, আমি যা করেছি তা নিজের চেষ্টায় করেছি। পৃথিবী বেঁচে থাকতে আর ইচ্ছে হচ্ছে না। আমি যদি ফেসবুক লাইভে না আসি আমি মরে গেলে কেউ বলতেও পারবে না।
তিনি বলেন, যারা লাইভে দেখছেন, আমার আত্মীয়রা সাবই আমাকে মাফ করে দেবেন।
তিনি আরু বলেন, পৃথিবীতে সন্তানদের বুঝা উচিত বাবারা না খেয়েও সন্তানকে মানুষ করে। ফ্যামিলি অনেক সময় বুঝতে চায় না। কেন বুঝে না তা আসলে আমিনিজেকে মানিয়ে নিতে পারলাম না।
তিনি বলেন, যেহেতু বাবা আমাকে কিছু দেয়নি, তাই যে কবরস্থান করেছি সেখানেও দাফন করোনা। আমাকে মোহাম্মদপুর বেরিবাঁধে আমাকে দাফন করো। আমি আমার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করছি।
মারা যাবার আগে তিনি কালেমা তাইয়্যেবা পড়েন।