আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

শুরু হচ্ছে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ

অনেক জল ঘোলার পর অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ। প্রথমবার এই আঞ্চলিক টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসেবে থাকছে দুটি দেশ।

বুধবার (৩০ আগস্ট) মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তানের সাথে নেপালের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর।

রাজনীতির টেবিল থেকে যুদ্ধের ময়দান, এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তানের শত্রুতা বড্ড ঐতিহাসিক। লড়াই চলছে দু’দেশের জন্মলগ্ন থেকে। কিন্তু কে না জানে, ওদের মধ্যে অনন্তকাল ধরে চলতে থাকা এ সংঘাত লাভের চেয়ে ক্ষতিই ডেকে এনেছে বেশি।

এসব রাজনৈতিক সংঘাতের জেরেই এবারের এশিয়া কাপ খেলতে কোনোভাবেই আয়োজক দেশ পাকিস্তানে যেতে রাজি হয়নি ভারত। তাই বাধ্য হয়েই সাজাতে হয়েছে হাইব্রিড মডেলে। প্রথমবারের মতো তাই এশিয়া কাপ আয়োজন করছে দুই দেশ মিলে। চারটা ম্যাচ পাকিস্তানে।

আর ফাইনালসহ বাকি ৯ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কাতে। এনিয়ে অনেক রশি টানাটানি হলেও ক্রিকেটের স্বার্থ বিবেচনায় এই মডেলই বেছে নেয় আয়োজক- এসিসি। এবার এশিয়া কাপের আরেক বিশেষত্ত, বিশ্বকাপের আগে সিমিলার কন্ডিশনে খেলা। আর প্রথমবার আঞ্চলিক এই আসরে সুযোগ করে নিয়েছে নেপাল।

গেল বছরের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। তবে ওডিআই ফরম্যাটেও এই টুর্নামেন্টে ওরা সেরা। সর্বোচ্চ ৫০ ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি ৩৪ জয়। এই তালিকায় ওদের পরে ভারত আর পাকিস্তান। ম্যাচ সংখ্যায় খুব একটা পিছিয়ে না থাকলেও এই ফরম্যাটের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জয় মাত্র সাতটা। টপ থ্রি থেকে যোজন যোজন পেছনে।

ম্যাচ জয়ে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে থাকলেও ট্রফির হিসেবে ভারত পেছনে ফেলেছে ওদের। হাফ ডজন ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপ শিরোপা আছে রোহিত শর্মাদের শোকেসে। একটা কম শ্রীলঙ্কার। আর জোড়া ট্রফি জিতেছে পাকিস্তান। এই তিন দেশই কেবল এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন তকমা ভাগাভাগি করে নিয়েছে নিজেদের মধ্যে। বাংলাদেশের নামটা পেছনে বলে মন খারাপ হতেই পারে।

তবে ওয়ানডে এশিয়া কাপে সফলতম ব্যাটারদের তালিকায় চোখ বোলালে টাইগার ভক্তদের হাসি চওড়া হতেই পারে। এই টুর্নামেন্টে গেল দশ বছরের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের। তার এভারেজও ঈর্ষনীয়। কেবল ভারতের শেখর ধাওয়ান আছে তার আগে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন