আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা আছে: হাইকোর্ট

যেকোনো নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজের আদেশ দেয়ার সময় আদালত এমন পর্যবেক্ষণ দেন।

আজ আসন দুটির সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটারের সংখ্যা, প্রশাসনিক কাঠামো বিন্যাস ও বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনী আসনের সীমানা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন একটি রুটিন কাজ নির্বাচন কমিশনের।

এরই অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

নির্বাচন কমিশনের গেলো ১ জুনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার নাজমুল ইসলাম শরীফ।

গেলো ৩০ জুলাই আসন দুটির সীমানা পুর্ননির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকের্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। এ আসনের সীমানা পরিবর্তন করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যোগ করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিল। এদিকে নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন