আর্কাইভ থেকে জাতীয়

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ৯ ঘণ্টায় যত টোল

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নয় ঘণ্টায় আয় ৬ লাখ ২৯২৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে মোট গাড়ি চলাচল করেছে ৭৭৩৩টি।

রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।

টোল প্লাজাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুড়িলে ৮৬৯টি, বিমানবন্দরে ৪৬৭৪টি, বনানিতে ৭৬৯টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৪২১টি গাড়ি টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে।

জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় এই উড়ালসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেছে ৩ হাজার ১২৫টি যানবাহন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আজ থেকেই এই রুট জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এর জেরে সকাল থেকেই একে একে টোল প্লাজায় আসতে শুরু করে যানবাহন। নির্ধারিত টোল দিয়ে মাত্র ১০ মিনিটেই কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে যানবাহনগুলো।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়ার প্রথম ৫ ঘণ্টায় কুড়িল টোলপ্লাজা দিয়ে ৩৯১টি, এয়ারপোর্টের টোলপ্লাজা দিয়ে ১৯২১টি, বনানী দিয়ে ৩০২টি এবং তেজগাঁও টোলপ্লাজা দিয়ে ৫১১টি যানবাহন পার হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও যানবাহনের চলাচল বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে প্রথম দুই ঘণ্টায় এই উড়ালসড়ক দিয়ে পার হয়েছে মোট ৯৪২টি যানবাহন।

এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে যানবাহনকে ৪টি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, মাইক্রোবাসসহ হালকা গাড়ির জন্য টোল ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাক ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা। দুর্ঘটনা রোধে ছোট ও কম গতির যানবাহন চলাচল করবে না।

সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন