আর্কাইভ থেকে আফ্রিকা

এবার আকাশসীমা খুলে দিলো নাইজার

সম্প্রতি নাইজারে ক্ষমতা দখল করেছে দেশের সেনাবাহিনী। বিদ্রোহের পর আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশের সেনা সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক কমার্শিয়াল উড়ানের জন্য আকাশসীমা আবার খুলে দেয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান নাইজার বিমানবন্দরে নামতে পারবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো ২৬ জুলাই দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল নাইজারের সেনা হুন্টা। আফ্রিকার দেশগুলোর ব্লক তাদের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে এ আশঙ্কায় আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছিল।

২৬ জুলাই ক্ষমতা দখলের পর ২ অগাস্ট পর্যন্ত নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। ২ আগস্ট সাময়িক সময়ের জন্য আকাশসীমা খুললেও ফের তা ৬ আগস্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময়েই পশ্চিম আফ্রিকার ব্লক ইকোয়াস নাইজারে সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছিল। এরপর আর আকাশসীমা খোলা হয়নি। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নতুন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ নাইজার। আয়তনে ফ্রান্সের দ্বিগুণ। ১২ লাখ ৭০ হাজার ব্রগ কিলোমিটার আয়তনের নাইজারের আকাশসীমা আফ্রিকা মহাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ আফ্রিকার বিমান নাইজারের আকাশসীমা ব্যবহার করে। ইউরোপগামী ফ্লাইটগুলিকেও নাইজারের আকাশসীমা ব্যবহার করতে হয়। আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ায় সমস্ত বিমানকেই ঘুরপথে এতদিন যাতায়াত করতে হচ্ছিল।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পশ্চিম আফ্রিকার ব্লকের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে নতুন সেনা হুন্টা। তারপরেই আকাশসীমা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাইজারের বর্তমান সেনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইকোয়াসের সঙ্গে আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কখনোই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। আপাতত একটি সমঝোতাসূত্রেও পৌঁছানো গেছে। তবে ঠিক কী সমঝোতা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, যিনি এখন ইকোয়াসেরও সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাইজারের সেনা হুন্টা জানিয়েছে, নয় মাসের মধ্যে তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আবার নাগরিক সরকারের হাতে তুলে দেবে। এই সমঝোতাতেই আপাতত সেখানে সেনা পাঠানো হচ্ছে না।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন