আর্কাইভ থেকে এশিয়া

মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ভারতকে রেল ও বন্দরের মাধ্যমে জোড়ার চুক্তি চূড়ান্ত, অংশীদার আমেরিকাও

জি ২০ এর মঞ্চ থেকে এক ঐতিহাসিক বড়সড় প্রকল্পে সংযুক্ত হল ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি), ইউরোপ। রেল, বন্দর, বাণিজ্য বৃদ্ধি, শক্তি, ডিজিটাল সংযোগ সম্পর্কিত এই প্রকল্পে হাতে হাত মিলিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা, ইউএই এবং ভারত।

জানা গেছে, জি২০ বৈঠকের ফাঁকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে দেশগুলির মধ্যে। একথা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রিন্সিপাল ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন ফিনার।

শনিবার সংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে ফিনার জানিয়েছেন যে পরিকাঠামোগত যে ফাঁক থেকে গিয়েছিল, তা এই প্রকল্পের হাত ধরে পূর্ণতা পেতে চলেছে। তিনি বলছেন, এই প্রকল্প, উচ্চমান, স্বচ্ছ্বতা সম্পন্ন, এবং মজবুত হতে চলেছে। তার মতে, এই প্রকল্প কোনও চাপিয়ে দেওয়া ধরনের প্রকল্প নয়। বরঞ্চ এটি চাহিদার কথাকে মাথায় রেখেই করা হচ্ছে।

এদিকে, এই বড়সড় প্রকল্প খানিকটা হলেও, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’এর একেবারে ১৮০ ডিগ্রি উল্টো বিষয়। যেখানে চীন তার ওই উদ্যোগে বিভিন্ন দেশকে ঋণের বোঝার মধ্যে ডুবিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ, সেখানে ভারত, ইউএই, আমেরিকা, ইউরোপের এই উদ্যোগ আপোস ও সমঝোতাকে সামনে রেখে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

পশ্চিম এশিয়া নিয়ে বাইডেনের যে নীতি রয়েছে, তা কার্যত এই প্রকল্পের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, জি২০ এর সঙ্গী দেশগুলি ছাড়াও ভারতের তরফে আমন্ত্রিত হিসাবে দিল্লিতে পা রেখেছেন মুহাম্মদ বিন জায়েদ অল নাহেয়ান। তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই জায়গা থেকে ইউএইর সঙ্গে এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, সেই মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সখ্যতার মাত্রা বাড়িয়ে নিতে সচেষ্ট আমেরিকা। সেই জায়গা থেকে এই প্রকল্প আমেরিকার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

জানা গেছে, এই প্রকল্প, I2U2 ফ্রেমওয়ার্ক (ভারত, ইজরায়েল, ইউএই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এর আওতায় নয়। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ইসরায়েল ও সৌদির মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার একটি সুপ্ত উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, তেলআবিব ও রিয়াধের মধ্যে যখন আনুষ্ঠানিক কূটনীতি জোরদার রয়েছে, তখন এই প্রকল্পে ইসরায়েল সংযুক্ত হলেও হতে পারে।

আমেরিকা বলছে, ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা ও সংযোগ বাড়িয়ে তুলে সংঘাত কমানোর উদ্যোগ রয়েছে। তবে চিনেপ বিআরআইকে এই প্রকল্প টক্কর দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে মুখ খুলে আমেরিকা শুধু বলছে, ‘এই প্রকল্পের একটি ইতিবাচক অ্যাজেন্ডা রয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন