ছাত্রলীগের ২ নেতাকে পেটানোর সঠিক বিচার চান ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের সঠিক বিচার দাবি করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এখন দেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। তাই অবশ্যই দেশের স্বার্থে বিচার হতে হবে।
আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ২ ছাত্রকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শরীফ আহমেদ মুনিমের প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেরে উঠলেও এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন আনোয়ার হোসেন নাঈম। তার ধারণা তাকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এডিসি হারুনসহ সংশ্লিষ্টদের বহিষ্কার দাবি করছেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চিকিৎসায় কোনো ধরনের ত্রুটি থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
জান যায়, গেলো শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে প্রশাসনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এডিসি হারুন। সেই বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমের ওপর হামলা চালানো হয়।
আনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, 'আমি এবং শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম শাহবাগ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন বারডেম হাসপাতালের সামনে আমার এলাকার বড় ভাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। তিনি জানালেন, তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালের চার তলায় পুরনো দ্বন্দ্ব নিয়ে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর এডিসি হারুন তার পুলিশ ফোর্স ডেকে আমার ওই বড় ভাই এবং শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে (ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক) ডেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে কিছুক্ষণ পর থানায় যাই। গিয়ে দেখি ওসি তদন্তের কক্ষে সবাইকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এডিসি হারুন ও ওসিও মারধর করছেন।'
তিনি বলেন, ওসির কক্ষের দরজা টেনে ভেতরে ঢুকতেই ১০ থেকে ১৫ জন আমার ওপর হামলা করেন। আমার মুখে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে আমাকে নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারেন। হারুন তার পিস্তলের বাট দিয়ে আমার মুখ থেঁতলে দেয়, এতে আমার দাঁত ভেঙে যায়।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে এডিসি হারুন অর রশিদকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে।