ঘুরেফিরে ব্যাকপেইন!
দীর্ঘ সময় শুয়ে-বসে থাকা, কম্পিউটারে টানা কাজ করা, কঠোর পরিশ্রম, ফ্র্যাকচার, সংক্রমণ, টিউমারসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাকপেইন হতে পারে। ব্যাকপেইন হলে ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় ব্যথা প্রকাশ পেতে পারে। ব্যথা যার হয় তিনিই বোঝেন এর কষ্ট। ব্যাকপেইন প্রাণঘাতী কিছু না হলেও বারবার ফিরে আসায় স্বাভাবিক জীবন দুঃসহ হয়ে ওঠে।
বিশেষ কিছু কারণে ব্যাকপেইন ফিরে আসে বারবার। এগুলো থেকে বিরত থাকা সম্ভব হলে ব্যাকপেইন মুক্ত থাকা যায়-
- ইদানীং ওবেসিটিতে ভুগছেন প্রায় অনেকেই। ব্যক্তিবিশেষে উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ভারসাম্য থাকাটা জরুরি। ওজন বেশি থাকলে দেরি না করে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এজন্য শরীর চর্চা ও সঠিক ডায়েট মেনে চলা উচিত।
- অনেক সময় ঝুঁকে কাজ করার কারণে ব্যাকপেইন হয়। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার, ল্যাপটপে অথবা মোবাইল ফোনের দিকে ঝুঁকে কাজ করলে শরীরের পিছনের মাংসপেশিতে টান ও চাপ লাগে। এ কারণে ব্যাকপেইন বারবার ফিরে আসে। ফলে সুস্থ জীবন কাটাতে হল অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাদের ব্যাকপেইন আছে চেয়ারে বসার সময় কোমর সোজা রেখে বসলে ব্যথা কম হবে। এজন্য একটি কিংবা দু’টি ছোট কুশন কোমরের নিচের অংশে রেখে বসলে কোমর সোজা থাকবে।
- ভারী বম্তু তোলার কারণেও অনেকের ব্যাকপেইন হয়। কোনো জিনিস নিচ থেকে তোলার সময় হঠাৎ করে ঝুঁকে না গিয়ে প্রথমে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে,তারপর জিনিসটি তুলতে হবে।
- শরীরের পেছনের মাংসপেশি যেন শক্তভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। এজন্য ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তা নিতে হবে। এখন ইউটিউবেও এই শরীর চর্চার নানা কৌশল পাওয়া যায়। এগুলো অনুসরণ করলে মুক্তি মিলবে ব্যাকপেইন থেকে । এরপরও যদি সমস্যা থেকেই যায়, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জীবন-যাপন করলে কমে যাবে ব্যাকপেইন।
অনন্যা চৈতী