মস্কোর সেনা সরানোর দাবি মিথ্যা : ওয়াশিংটন
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবিকে মিথ্যা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহারের যে দাবি করছে তা মিথ্যা মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, রুশ সরকার বলেছে, তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে। এ দাবির মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের মনোযোগ পেয়েছে। কিন্তু আমরা এখন জানি, এটা ছিল মিথ্যা দাবি।
রাশিয়ার দাবি যে মিথ্যা, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেননি যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে, সে বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিত।
তার দাবি, সেনা না সরিয়ে বরং রাশিয়া আরো নতুন সেনা মোতায়েন করেছে। বুধবার ইউক্রেন সীমান্তে সাত হাজার অতিরিক্ত রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মস্কোর দাবি, সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার পর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তারা সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর এ দাবির পক্ষে তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখেননি।
ইউক্রেন সংকট নিয়ে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ফোনে কথা বলেছেন। রাশিয়াকে অবশ্যই উত্তেজনা প্রশমনে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে বলে দুই নেতা একমত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা দেখা দেয়।
পশ্চিমারা দাবি করে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
যদিও রাশিয়া শুরু থেকেই পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
রাশিয়ার দাবি, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর ঘোষণা দেয় রাশিয়া। পরদিন বুধবার রুশ সরকার বলে, ক্রিমিয়া থেকে আরও সেনা সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই।