শুরু ধস কাটিয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেলো বাংলাদেশ
টপ অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০০ না পেরনোর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে সাকিব- হৃদয়ের অর্ধশতকের পর শেষ সময়ে এসে নাসুম আহমেদের ৪৪ ও মাহাদী হাসানের ২৯ রানে ভর করে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
৪২তম ওভারে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে হৃদয় আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল সন্দেহ। এরপর আবির্ভাব হলো ‘অপ্রত্যাশিত’ এক জুটির। বোলার নাসুম আহমেদ হয়ে উঠলেন ব্যাটসম্যান, মেহেদী হাসানের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠল ৪৫ রান।
৪৫ বলে ৪৪ রান করে নাসুম আউট হয়ে গেলে অভিষেকে ব্যাট করতে নামা তানজিম হাসান সাকিবও হয়ে ওঠেন মারমুখি। ১টি করে চার ও ছয়ে ৮ বলে করেন ১৪ রান। আর মাহাদী হাসান করেন ২৩ বলে ২৯ রান।
এর আগে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলোম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০০ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও তাহিদ হৃদয়। তবে সেই জুটি গড়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক। ৮৫ বলে ৮০ রান করে শার্দূল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়েরীও টিকতে পারেননি। ৫ বল খেলে ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হয়ে যান তিনি।
ভারতের হয়ে শার্দূল ঠাকুর নেন ৩ উইকেট। আর মোহাম্মদ সামি সংগ্রহ করেন ২ টি।