আর্কাইভ থেকে বিএনপি

সংবিধান ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটা পরিবর্তনশীল : আমীর খসরু

আওয়ামী লীগ সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ পরিবর্তন করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটা পরিবর্তনশীল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘সংকট সমাধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু সংবিধান কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটা পরিবর্তনশীল। আওয়ামী লীগ সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন বলছে সংবিধান কোনোদিন পরিবর্তন হবে না। যখন জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলাম মিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল তখন বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন বজায় রেখে বেগম খালেদা জিয়া সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করেছিলেন। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এককভাবে এটা পরিবর্তন করেছে। এখন সংবিধানের ওসিলায় আওয়ামী লীগ ভোটচুরির প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে শুধু ভোটের দিন ভোট চুরি হয় না, সারাবছর ধরেই ভোটচুরির প্রকল্প চলে।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব হচ্ছে সংবিধানের সুরক্ষা করা। কিন্তু দেশের বিচার বিভাগ সংবিধানের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন বিচার বিভাগের একটি অংশ রাজনীতিবিদের দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ, বিচার বিভাগ, সরকারি কর্মকর্তা, লুটেরা ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের একটি অংশ মিলে বলয় তৈরি করেছে। নির্বাচনে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নয়। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এ অংশগুলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই। মূলত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ অংশগুলো ক্ষমতা চালাচ্ছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। কারণ, তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। বিএনপির নেতাকর্মীকে গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে। কারণ, বিএনপির নেতাকর্মীদের যে গণতান্ত্রিক স্পৃহা আছে তা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন