আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

কানাডায় আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় লি

কানাডায় আছড়ে পড়েছে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় লি। আটলান্টিক মহাসাগরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় অবস্থান করার পর ঝড় লি স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কানাডার নোভা স্কটিয়া প্রদেশের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলে হারিকেনের মতো শক্তিশালী বাতাস নিয়ে আছড়ে পড়ে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঝড়ের আঘাতে উত্তর আটলান্টিক উপকূলে বহু রাস্তা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে, অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে এবং লাখো মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার ঝড়-সম্পর্কিত অন্তত একটি প্রাণহানির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যে একটি গাড়ির ওপর গাছ পড়ে গেলে গাড়িচালক মারা যান বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) তার সর্বশেষ সতর্কতায় বলেছে, শনিবার হ্যালিফ্যাক্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে ছোট দ্বীপ লং আইল্যান্ডে আছড়ে পড়ার পর ঝড় লি উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শক্তিশালী এ ঝড়ে এখনো জোরালো দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ মাইল (১০০ কিমি) বেগে বাতাস বয়েছে।

রয়টার্স বলছে, লি এখন মেইন অঙ্গরাজ্যের ইস্টপোর্ট থেকে প্রায় ৪০ মাইল (৬০ কিমি) পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে এবং হ্যালিফ্যাক্স থেকে প্রায় ১৩০ মাইল (২১৫ কিমি) পশ্চিমে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে ঝড়টি দুর্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ঝড় লি মেইন অঙ্গরাজ্যের উপকূলীয় এলাকা এবং আটলান্টিক মহাসাগরের কানাডার উপকূলীয় কিছু অংশে শক্তিশালী বাতাস, উপকূলীয় বন্যা এবং ভারী বৃষ্টি বয়ে এনেছে। শনিবার কানাডার নোভা স্কটিয়া প্রদেশে ঝড়ের কারণে জোরালো বাতাসে বহু গাছ ও বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ে। এতে করে শনিবার দেশটির ওই অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া নোভা স্কটিয়া প্রদেশের প্রতিবেশী নিউ ব্রান্সউইকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার ম্যাসাচুয়েটস থেকে নোভা স্কোটিয়া পর্যন্ত সুদীর্ঘ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে হ্যারিকেনের সতর্কতা জারি করেছিল। সংস্থাটি সতর্কতায় জানায়, এ ঝড়ের কারণে ৯০ লাখ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন।

মার্কিন হারিকেন সেন্টার আরো জানায়, হারিকেন লি এর কারণে নিউ ইংল্যান্ডে ১ থেকে ৩ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। এছাড়া ঝড়টির কারণে ২ থেকে ৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন