সরকার সব চুরি করে আর বিদেশে পাঠায়: ফখরুল
‘সরকার শুধু দ্রব্যমূল্য কমাতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনাতেও ব্যর্থ সরকার। এত বড় চোর যে, চুরি করে দেশকে তারা ফোকলা করে দিয়েছে।’ বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বগুড়ার চারমাথা এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সব কিছু চুরি করছে। জনগণের ভোটাধিকার চুরি করে ২০২৪ সালে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তিনি (শেখ হাসিনা) থাকলে নাকি ভালো নির্বাচন হয়, শেয়ালের কাছে মুরগি দিলে কি হয় তা সবাই জানে!
তিনি বলেন, সরকার সব চুরি করে আর বিদেশে পাঠায়। বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করে। আর সবচেয়ে বড় চুরি করেছে-আমার ভোটের অধিকার। ১৪ তে চুরি করেছে, ১৮ তে চুরি করেছে। এখন আবার পাঁয়তারা করছে ২০২৪ এর নির্বাচনে চুরি করে পার হয়ে যাবে।
‘আজকে স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর পরে আমাদের আবার সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে কেন? আমাদের অধিকারের জন্য। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার; বেঁচে থাকার অধিকার। ভাতের অধিকার বললাম কারণ, চাল-ডাল-তেল-লবণ সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। আমার মা-বোনেরা তাদের ছেলে-মেয়েদের একটা ডিম দিতে পারে না। বিদ্যুতের দাম তিন-চার বার করে বাড়ছে। তেলের দাম তিন-চার বার করে বাড়ে। সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। বলে দাম তো ফিক্স করে দিয়েছি—দাম ফিক্স করলেই কি দাম কমানো যায়? চুরি তো করো তোমরা। চুরি করো আর বলো দাম ফিক্স করেছি।'
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে মারতে চায় সরকার। বিরোধীদল যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য আগে থেকেই নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দ্বিতীয় দিন বগুড়া থেকে সান্তাহার ও নওগাঁ হয়ে রাজশাহীর মোট ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত রোডমার্চ করবে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। কর্মসূচিতে এই তিন সংগঠনের পাশাপাশি বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও অংশ নিয়েছেন।