রোনালদোকে পেয়ে ইরানের প্রতিবন্ধী শিল্পীর স্বপ্নপূরণ
২০১৭ সালের কথা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তখন খেলতেন রিয়াল মাদ্রিদে। ইরানের শিল্পী ফাতেম হাম্মামি নাসরাদি তখন রোনালদোর প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন। পর্তুগিজ তারকার এমন প্রতিকৃতি তো অনেকেই আঁকেন, তবে ফাতেম হাম্মামির এই প্রতিকৃতির একটা বিশেষত্ব ছিল।
ইরানের এই শিল্পী রোনালদোর প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন পা দিয়ে। শরীরের ৮৫ শতাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত একজন নারী শিল্পীর এমন দুর্দান্ত শিল্পকর্ম তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ফাতেম লিখেছিলেন, ‘খুশি হতাম যদি রোনালদো আমার কাজগুলো দেখত।’
রোনালদো দেখেছেন, উপহার হিসেবে দুটি প্রতিকৃতি নিয়েও গেছেন। সে জন্য ফাতেম হাম্মামিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ছয় বছর। রোনালদো তত দিনে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ করে পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে। স্বপ্নপূরণের জন্য এটুকু অপেক্ষা তো করাই যায় নাকি!
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে ইরানে এসেছিলেন রোনালদো। সেখানে ইরানের দল পেরসেপোলিসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। গোল না করলেও পেরসেপোলিসকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের মৌসুমে শুভসূচনা করেছে রোনালদোর দল আল নাসর। ইরানের মানুষ রোনালদোকে এমনিতেই ভালোবাসেন। কতটা ভালোবাসেন, তা বোঝা গেছে রোনালদোকে দেয়া অভ্যর্থনা দেখে। আর রোনালদোও তাঁদের মন জয় করে নিয়েছিলেন মাঠে নামার আগেই, ফাতেম হাম্মামির সঙ্গে দেখা করে।
এই গল্পের শুরুটা হয় ফাতেম হাম্মামি ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশের পর। রোনালদো তেহরানে পা রাখার পরই পেরসেপোলিস অফিশিয়ালরা আল নাসরের অফিশিয়ালদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। এরপর তাঁরাই রোনালদোর সঙ্গে ফাতেম হাম্মামির দেখা করার ব্যবস্থা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার এক হোটেলে রোনালদোর সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সেখানে রোনালদোকে দুটি প্রতিকৃতি উপহার দেন ফাতেম হাম্মামি। যে উপহার নিয়ে হাসিমুখে ছবি তোলেন আল নাসর তারকা। রোনালদোও উপহার দেন আল নাসরের জার্সি। ৩৪ বছর বয়সী মেয়েটির মাথায় স্নেহসূচক চুমুও দেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি।