আর্কাইভ থেকে জাতীয়

যেসব বাংলাদেশির ওপর মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

আসছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্তভাবে অনুষ্ঠানের জন্য এরই মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সাবেক ও বর্তমান সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আনুষ্ঠানিকভাবে আরোপ করেছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পর ঢাকায় মার্কিন দূতা্বাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার এ তথ্য জানান। তবে কতজন বাংলাদেশির ওপর এই ভিসানীতি প্রয়োগ শুরু হয়েছে তা জানাননি তিনি।

কাদের ওপর ভিসানীতি আরোপ করা হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতা্বাসের মুখপাত্র বলেন আমরা যখন এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘটনাবলির ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে। সতর্কতার সঙ্গে তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।

ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘না, এসব ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম আমরা প্রকাশ করব না।’

মার্কিন ভিসানীতি যেসব বাংলাদেশির ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ না করার কারণ ব্যাখ্যা করে ব্রায়ান শিলার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়।

গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র কথা বলার ঘণ্টাখানেক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু হয়েছে।এসব ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।এসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টেমেন্টের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গৃহিত পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির অংশ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন