ভিকটিম থেকে প্রতারক চক্রের প্রধান (ভিডিও)
অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আসা একটি চক্রের মূল হোতা বেলাল ও তার অন্যতম সহযোগী সবুজসহ ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আল মঈন জানান, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা টেস্টের ফলাফল বদলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রটি প্রায় এক বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকা, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- জসিম উদ্দিন (২২), সুলতান মিয়া (১৯), বেলাল হোসেন (৩১), আবুল হোসেন (২৪), আব্দুর নূর (২১), আলফাজ মিয়া (১৯) শামিম (৩২), আহাম্মদ হোসেন (১৯), ইমরান উদ্দিন মিলন (১৯), সবুজ মিয়া(২৭), আব্দুর রশিদ (২৮), আব্দুল করিম চৌধুরী (৩২) আঙ্গুর মিয়া (২৫) ও আলমগীর হোসেন (২০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আয় করা সাত লাখ টাকা, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১২০টি সিমকার্ড, ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন, ট্যাব, ৩২টি মোবাইল ফোনসেট, একটি পাসপোর্ট, নোটবুক এবং চক্রের সদস্যদের বেতনের হিসাব বিবরণী জব্দ করা হয়।
আল মঈন আরও জানান, এই চক্রটির মূলত করোনা টেস্টের নমুনা দিতে আসা মানুষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতেন। এরপর তাদের ফোন করে করোনা পজিটিভ বলে জানাতেন। এ সময় করোনা টেস্টের ফল পরিবর্তন করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি। এভাবে চক্রটি কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তাদের টার্গেট ছিল বিদেশগামী যাত্রীরা। এসব মানুষের যারা তথ্য সংগ্রহ করতেন তাদেরকে দৈনিক ভিত্তিতে এক হাজার টাকা দেওয়া হতো। যারা মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করতেন তাদেরকে দৈনিক ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা দেওয়া হতো।
এছাড়াও চক্রের সদস্যদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে আলাদা আলাদা সেক্টরে কাজ করতে বলা হতো। কেউ মোবাইল ব্যাংকিং, হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ, মোবাইলে কথা বলা, পজিটিভ থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট করাসহ নানা সেক্টরে কাজ করতেন তারা।
আর