আর্কাইভ থেকে টুকিটাকি

আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখার দিন...

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।’

‘স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে; স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’ বিজ্ঞানী আবুল কালাম আজাদের বিখ্যাত এ ‍উক্তিটি নিশ্চয়ই সবার মনে আছে।

আবার সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ’র ভাষায় , ‘একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তাঁর স্বপ্নটা জানা।’

ভাবছেন স্বপ্ন এত এত কথার রহস্যটা কি! কারণ আজ ‘বিশ্ব স্বপ্ন দেখা দিবস।’

২০১২ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওজিওমা এগুয়াওয়ানওয়ের উদ্যোগে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়।

বিশ্ব স্বপ্ন দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার মধ্যে উৎসাহ তৈরি করা। সবার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার প্রয়াস। একটি ভালো কিংবা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন আমরা সবাই-ই দেখি। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন পূরণে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এ বাধা কাটিয়ে কীভাবে স্বপ্ন পূরণে আরও বেশি উদ্যমী হওয়া যায়, সেটি অনুধাবন করাতেই এ দিবস।

স্বপ্ন অনেক প্রকার হতে পারে। কেউ স্বপ্ন দেখে ঘুমিয়ে, কেউ স্বপ্ন দেখে জেগে।

কারও বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বপ্ন দেখা। যে মানুষটি আজ বেঁচে আছে, সে এক বা একাধিক স্বপ্নকে সামনে রেখেই বেঁচে আছে। স্বপ্ন দেখতে হয়, স্বপ্ন দেখাতে হয়। যে স্বপ্ন দেখতে পারে না, সে মৃত মানুষ। তার জীবন উপভোগ্য হতে পারে না।

যারা জীবনে কখনও বড় বা সুন্দর স্বপ্ন দেখে না, তারা মানুষকে ভয় দেখায়, নিরুৎসাহিত করে। আপনি যদি সাহসী হন, বিবেকবান হন আর আপনার মনে যদি বড় ও সফল হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় থাকে, আর তা যদি আপনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে এমন কোনো অপশক্তি নেই যা আপনাকে থামাতে পারে। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখুন, হৃদয়ে লালন করুন। স্বপ্ন নামক বৃক্ষটির প্রতি যত্নবান হন। দেখবেন, একসময় ওই বৃক্ষটিতে সুন্দর পাতাসহ রঙিন ফুল ফুটবে, ফল ধরবে; ঠিক আপনার যেমনটা প্রত্যাশা ছিল।

পৃথিবীতে অনেক নতুন কিছুর শুরু হয়েছে স্বপ্নের মাধ্যমে। বছরের পর বছর ধরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন উদ্ভাবন একেকজনের স্বপ্নের বাস্তব রূপ। অনেক কবি-সাহিত্যিক তাদের বই বা গান রচনা করেছেন স্বপ্ন থেকেই। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র সর্বকালের অন্যতম বিখ্যাত বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেটি তিনি শুরু করেছিলেন ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে’ বাক্যটি দিয়ে। তিনি বর্ণবাদের অবসানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।

মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নে ভাসে। স্বপ্নে উজ্জীবিত হয়, দারুণ উৎসাহ পায়। সব বাধা-বিপত্তিকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে স্বপ্ন। স্বপ্ন না থাকলে মানুষের জীবন মিছে, বৃথা। দৃঢ় স্বপ্নই পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।

আজকের দিনটিতে নিজেকে খানিকটা সময় দিন। নিজের স্বপ্নগুলো নিয়ে ভাবুন। হতে পারেন আপনি ছাত্র, ব্যবসায়ী কিংবা চাকরিজীবী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করুন। এখন যে অবস্থানে আছেন কয়েক বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান। আপনার জীবনের স্বপ্ন কি এবং সেটি বাস্তবায়িত করতে কী কী করতে হবে সেই উপায় বের করুন আজ।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন