আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দেশব্যাপী এক কোটি টিকাদান কার্যক্রম চলছে

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে একদিনে এক কোটি করোনার টিকাদান কার্যক্রম। পরে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রমও জোরদার করা হবে। জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও জাতীয় কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য শামসুল হক এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকা নেয়ার আগ্রহ বজায় থাকলে দ্রুত লক্ষ্যপূরণে পৌঁছানো সম্ভব। শনিবার টিকার ডোজ দেয়ার ব্যাপক আয়োজন থাকছে। দেশজুড়ে ২৮ হাজার কেন্দ্রে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। আশা করা যায়, ওই দিন পর্যন্ত দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়ার টার্গেট পূরণ হবে।

শামসুল হক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এদিন পর টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপর দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে।

যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। গণটিকাদানের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলো স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে। 

পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে তিনটি করে দল। নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন