আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

কারাগারে পরিচালক ফাতেমা ও ডা. মামুন

রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা ফাতেমা খাতুনের চার দিনের এবং ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে নেয়ার আবেদন করেন। 

গত ১৫ নভেম্বর ফাতেমা খাতুনের চারদিন এবং ১৭ নভেম্বর ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

৯ নভেম্বর দুপুরে মানসিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে আসেন এএসপি আনিসুল করিম। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মারা যান তিনি। হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে।

দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকার পরেও তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পর ১২টার দিকে মাইন্ড এইড হাসপাতালের লোকজন তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু হয় আনিসুলের।

এ ঘটনায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান আনিসুল করিম। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন