আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ঐক্যবদ্ধ থেকে শত্রুদের প্রতিরোধ করার আহ্বান: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে প্রবেশ করেছে রুশ সেনাবাহিনী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খারকিভের শহরে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই চলছে রুশ বাহিনীর। তুমুল লড়াই চলছে, কিয়েভ দখলেও।

এদিকে, প্যোলেন্ডের সীমান্ত হয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে ইউক্রেনবাসী। অন্যদিকে রাশিয়াকে রুখতে দেশটির জন্য আকাশ পথ বন্ধ করেছে জার্মানিসহ ইউরোপের ১৩টি দেশ। 

আজ ইউক্রেনের আক্রমণের চতুর্থ দিনে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের দাবি এখন পর্যন্ত চার হাজার তিন’শ রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে।  তাদের অভিযোগ, রাশিয়া দু’শর বেশি বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।   সংঘাত থেকে জীবন বাঁচাতে ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। রোববার ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে শরনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, দু’দেশের সংঘাতের কারনে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। 

তবে ইউক্রেনবাসীকে দেশ ত্যাগ না করে ঐক্যবদ্ধ থেকে শত্রুদের প্রতিরোধ  করার আহবান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসেডেন্ট ভলোদিমির  জেলেনস্কি। যে কোনো মূল্যে দেশকে রক্ষা করার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেছেন, অস্ত্র ছাড়বেননা। 

প্রেসেডেন্ট ভলোদিমির  জেলেনস্কি ,আমি নিজেই  এখানে আছি । আমরা অস্ত্র ছাড়বো না । আমাদের সেনাদের সাথে সাধারণ মানুষও লড়ছে । আমরা আমাদের দেশকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করবো। 
 
এদিকে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারীর পর পশ্চিমা নেতারা এবার আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে। রাশিয়াকে সম্পূর্ণ এক ঘরে করে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউরোপী নেতারা। তবে রাশিয়া দাবি করেছে, সব নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কাটাতে তারা সক্ষম। 
 
অন্যদিকে জার্মানি, বেলজিয়াম,  আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, স্লোভেনিয়া, চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্টোনিয়া, ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া, বুলগেরিয়ার মত ইউরোপের ১৩টি দেশ রাশিয়ার উড়োজাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 
 
এদিকে পোল্যান্ডে ন্যাটো বাহিনীকে  আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে । এছাড়া, রাশিয়ার হামলা প্রতিরোধে ইউক্রেনে ১ হাজার ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি।  
 
ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে মস্কো, প্যারিস, বার্লিন, রোম ও নিউইয়র্কসহ বিশ্বে বড় বড় শহরগুলোতে।

 

এসআই/

 
 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন