৬ শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষামূলক এইচপিভি টিকার উদ্বোধন আজ
পরীক্ষামূলকভাবে ৬ শিক্ষার্থীকে দিয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আজ।
দশ দিন পর্যবেক্ষণ শেষে ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) উদ্যোগে সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার ৬ জন কিশোরীকে ইপিআইয়ের ওয়েবসাইটে (vaxepi.gov.bd) জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এইচপিভি টিকা দেয়ার মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন হচ্ছে। উদ্বোধন পরবর্তী ১০ কার্যদিবস পর্যবেক্ষণকাল হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৫ অক্টোবর হতে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও জানানো হয়েছে, গ্যাভি থেকে ধাপ ধাপে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ২০২৩ সালে দেশে বিভাগভিত্তিক এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যে গ্যাভি থেকে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ২০০ ডোজ সারভারিক্স ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে।
প্রথম দফায় টিকা ক্যাম্পেইনের মোট কর্মদিবস ১৮ দিন। প্রথম ১০ দিন স্কুল ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র সমূহে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোরীদের এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে স্কুল বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এইচপিভি টিকা দেয়া হবে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ঢাকায় প্রথম ধাপ শেষে পরে ২য় ও ৩য় ধাপে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগ এবং অবশিষ্ট সব বিভাগে একইভাবে এইচপিভি ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার গাজীপুর জেলা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এইচপিভি টিকাদান পাইলট কার্যক্রম সফলভাবে শেষ করে। পরে গ্যাভি বরাবর এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে আবেদন প্রেরণ করা হয় যা গ্যাভি কর্তৃক গৃহীত হয়।