মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন আজ, বিশ্ব জুড়ে পালিত হবে ‘অহিংসা দিবস’
বিশ্ব জুড়ে অহিংস আন্দোলনের প্রবর্তক ও শান্তিকামী নেতা হিসেবে পরিচিত মহাত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) ১৫৪তম জন্মদিন আজ। প্রতি বছর ২ অক্টোবর তার জন্মদিনটিকে অহিংস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতে এ দিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়।
১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর ভারতের গুজরাট রাজ্যের পরবনদার শহরে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। মহাত্মা গান্ধী ভারতের জাতির পিতা। মানবমুক্তির বার্তা নিয়ে ভারতসহ বিশ্বময় ঘুরে বেড়ানো মহাত্মা গান্ধী এক শান্তির দূত হিসেবেই সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
বিশ্ব থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি, অসহিষ্ণুতা ও রক্তপাত বন্ধে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে দিবসটি পালন করা শুরু হয়। পৃথিবীর অসহিষ্ণুতা, উত্তেজনা ও সহিংসতা বন্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে বিশ্ব অহিংস দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্যারিসে ইরারি নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদী তার একজন হিন্দি শিক্ষকের কাছ থেকে দিবসটির ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেন। পরে ২০০৭ সালে সোনিয়া গান্ধী জাতিসংঘে পেশ করেন। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় গান্ধীর চিন্তাধারার প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতিসংঘ ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
মহাত্মা গান্ধী ১৮৯১ সালে লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়তে যান এবং বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে একটি আইন কোম্পানির আইন পরামর্শকের চাকরি নিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চলে যান। সেখানে অবস্থানকালে প্রবাসী ভারতীয়দের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে নানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯১৪ সালে গান্ধী ভারতে ফিরে আসেন এবং ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯২১ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলে আসেন। এ সময় তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন এবং বেশ কয়েক বার কারাবরণ করেন।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধী নাথুরাম গডসে নামের এক ব্যক্তির গুলিতে নিহত হন।