আর্কাইভ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি

হ্যাকারদের বানানো নকল লিংক চেনার উপায়

বর্তমান সময়ে কম বেশি সবাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যাবহার করে। এতে অনেক সময় অনেক রকম  মেইল বা মেসেজ আসতেই পারে আপনার কাছে। যেমন বিশাল টাকা পুরস্কার জিতেছেন আপনি। অথবা একদম বিনামূল্যে নামি কোম্পানির দারুন অফার রয়েছে আপনার জন্য। । সেসবে ভুলেও ক্লিক করবেন না। তাতে আপনার অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চলে যেতে পারে প্রতারকদের কাছে। হ্যাকারদের বানানো নকল লিংক কোনটি তা বুঝবেন কি করে? চলুন তা জেনে নেয়া যাক এই প্রতিবেদনে।

না বুঝে প্রায়ই হ্যাকারদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকে। হ্যাকাররা বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করছে।এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিশিং। মাছ ধরার মতোই টোপ ফেলছে তারা। তাদের ফাঁদে পা দিলেই ব্যস। নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন ব্যাংক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা জি-মেল বিভিন্ন সংস্থার লগ ইন পেজের মতো ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করছে প্রতারকরা। এরপর তারা ব্যবহারকারীদের কাছে মেসেজ পাঠাচ্ছে। সেসব ওয়েবসাইটে ঢুকলেই ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ম্যাওয়্যার ঢুকে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সেসব ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা।

অনেক সময় হয়তো খেয়াল করেছেন নামিদামি কোনো সংস্থা, ব্র্যান্ড বা সাইট থেকে আপনার কাছে মেসেজ আসছে। ই-মেইলও করা হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন অফারের কথা জানানো হচ্ছে। সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লিংকে প্রবেশ করার জন্য অনুরোধ করা করছে। সেখানে জয়েন হতেও বলা হচ্ছে। আপনার কাছে এটি আসল মনে হলেও আসলে এগুলো হ্যাকারদের প্রতারণার ফাঁদ। সাধারণভাবে এসব ওয়েবসাইট দেখতে একেবারে আসল ওয়েবসাইটের মতোই। তবে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করলে আসল নকল চিনতে পারবেন। যে ই-মেইল বা মেসেজ এসেছে সেটিকে যাচাই করুন। ওয়েবসাইটের ডোমেইন চেক করুন। ভালোভাবে খেয়াল করুন সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএলটিতে এইচটিটিপি আছে কি না। সেই সঙ্গে ইউআরএলের বানান ঠিক আছে কি না।

ভুয়া বা নকল ওয়েবসাইটের ইউআরএলে সাধারণত এই ভুলগুলো থাকে। প্রথমেই দেখুন মেসেজটির পাশে ‘ফরওয়ার্ড’র চিহ্নটি আছে কি না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া মেসেজগুলো ফরওয়ার্ড হয়ে আসে। ফরোয়ার্ড করা মেসেজগুলো যিনি সেন্ড করেন, তিনি কিন্তু লেখেন না। তাই পরিচিত জনের কাছ থেকে ফরওয়ার্ড করা মেসেজ পেলেও তার সত্যতা জানুন আগে। অনেক সময় ভুয়া মেসেজগুলোতে বানান ভুল বা অনেক অক্ষর থাকতে পারে। ওই লেখাগুলো হাইপারলিংক করা থাকায় ট্যাপ করলেই আপনি অন্য একটি পেজে ঢুকে যাবেন। কিছু ক্ষেত্রে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা পাসপোর্টের নম্বর চাইতে পারে। ভুলেও এসব তথ্য কোনো পেজে দেবেন না। এগুলো হ্যাকারদের কাজ। সেসব তথ্য দিলে হ্যাকাররা অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করতে সময় নেবে না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন