ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলো ইইউ
রাশিয়ার আগ্রাসনে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)। স্থানীয় সময় সোমবার(২ অক্টোবর)ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রথম বারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক শুরুর আগে ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল গণমাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জোসেফ বোরেল বলেন, আমরা এখানে ইউক্রেন ও ইইউ-এর ভবিষ্যৎ সদস্যদের মধ্যে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি ঐতিহাসিক বৈঠক আহ্বান করছি। আমরা এখানে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমাদের সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করতে এসেছি।’ বৈঠকে ২৭ ইইউ সদস্য দেশের মধ্যে ২৩টিই তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাঠিয়েছে। বাকি ৪ দেশ পাঠিয়েছে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেকপ্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কিয়েভে আছেন। লাটভিয়ান এবং সুইডিশ রাষ্ট্র সচিবসহ পোল্যান্ডের উপমন্ত্রী এবং হাঙ্গেরির ডেপুটি স্টেট সেক্রেটারিও রাজধানীতে উপস্থিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন বিল এবং স্লোভাকিয়া নির্বাচন শেষে ইউক্রেনে যুদ্ধ সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটিকে ‘অপ্রতিরোধ্য সমর্থনে’ আশ্বস্ত করেন। এদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সোমবার ইউক্রেনকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের একটি শীতকালীন প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার প্রয়োজন। বিমান প্রতিরক্ষা, জেনারেটর এবং শক্তি সরবরাহ শক্তিশালীকরণের দিকে নজর দিতে হবে। আমরা গত শীতে দেখেছি যে রুশ প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধে নৃশংস উপায়ে যুদ্ধ চালাচ্ছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতেও হামলা চালিয়েছেন।’