আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

অনাস্থা প্রস্তাবে পদ হারালেন মার্কিন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি

নিজ দলের অভ্যন্তররীণ কোন্দল এবং ডানপন্থিদের ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের মুখে অবশেষে নজিরবিহীন ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলো কেভিন ম্যাকার্থিকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হারালেন পদ।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ২১৬-২১০ ভোটে ম্যাকার্থিকে স্পিকারের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রতিনিধি পরিষদের নেতাকে সরিয়ে দেয়ার এমন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ঘটল।

বুধবার (৪ অক্টোবর) আলজাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ম্যাকার্থিকে সরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াটি শুরু করা ফ্লোরিডার ডানপন্থি কংগ্রেসম্যান ম্যাট গায়েটজ বলেন, ‘যে ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল স্পিকার ম্যাকার্থির, তিনি তা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।’

নজিরবিহীন এই ভোট তুলে ধরেছে রিপাবলিকান পার্টির টালমাটাল পরিস্থিতিকে। জানুয়ারিতে স্পিকার হওয়ার পর কয়েকবার ম্যাকার্থিকে সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিল দলের ডানপন্থিরা। তবে তাকে সরিয়ে কাকে বসানো হবে ওই পদে সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কোনো প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেননি তারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার ভোটে আটজন রিপাবলিকান সদস্য ম্যাকার্থিকে বাঁচানোর শেষ সুযোগটিতেও বাধ সাধেন। অন্যদিকে, ম্যাকার্থিকে নিয়ে হতাশ ডেমোক্র্যাটরাও তার পক্ষে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানান।

এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জা-পিয়েরে জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা প্রকাশ করেছেন, পরিষদ খুব শিগগিরই একজন নতুন নেতা নির্বাচন করতে পারবে এবং জরুরি চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য জাতিকে আর অপেক্ষ করতে হবে না।

জা-পিয়েরে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা তাদের জীবনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এমন ঘটনার জন্য সঠিক নেতৃত্বকে বেছে নিতে সঠিক কাজটি করে থাকেন।’

স্পিকার ছাড়া প্রতিনিধি পরিষদে এখন কোনো বিল পাস করা যাবে না। অন্যদিকে, ম্যাকার্থিও ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি স্পিকার পদে আর লড়বেন না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন