বন্যায় নিহত বেড়ে ৫৩, ভেসে আসছে আরও মরদেহ
গেলো তিনদিনে সিকিমে বন্যার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৭টি মরদেহ।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আকস্মিক বন্যায় সাত সেনাসহ অন্তত ৫৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সাতটি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার বাসিন্দা।
সিকিম সরকার জানায়, এক হাজার ১৭৩টি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও দুই হাজার ৪১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিস্তা-ভি হাইড্রোপাওয়ার স্টেশনের সব সেতু ডুবে গেছে বা ভেসে গেছে। এছাড়া রাজ্যের ১৩টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। সড়কপথে সিকিমের সঙ্গে পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন মাঙ্গান জেলার বেশিরভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। লাচেন ও লাচুং-এ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে তিন হাজারের বেশি আটকা পড়া পর্যটকদের উদ্ধার কঠিন হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়া, মেঘের আচ্ছাদন এবং লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় কম দৃশ্যমানতার কারণে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর একাধিক প্রচেষ্টা গত দুই দিন ব্যর্থ হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে আজ আকাশপথে উদ্ধার অভিযান আবার শুরু হবে।
আকস্মিক এ বন্যা ভারতের উত্তর-পূর্ব এ রাজ্যে ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে প্রভাবিত করেছে। রাজ্য জুড়ে ২২টি ত্রাণ শিবিরে মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।