আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাশিয়ার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা 'সুইফট' থেকে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করা, বিদেশে মি. পুতিনের যেসব সম্পদ রয়েছে সেগুলো জব্দ করা। রাশিয়ার ওপরে আরোপিত এ নিষোধাজ্ঞাগুলোকে প্রেসিডেন্ট  পুতিন মনে করছেন তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। 

এছাড়া বিভিন্ন আন্তঃদেশীয় কোম্পানি রাশিয়াতে কার্যক্রম বন্ধ অথবা সীমিত করেছে। সর্বশেষ শনিবার স্যামসাং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিসা, মাস্টারকার্ড, পেপ্যাল এবং পোশাক বিক্রেতা কোম্পানি জারা রাশিয়াতে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স এরোফ্লোটের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সফরকালে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের আকাশসীমার উপরে বিমান চলাচল বন্ধ বা 'নো ফ্লাই জোন' ঘোষণা দিলে সেটিকে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কেউ যদি এমন করে তবে তাকে শত্রু হিসেবেই জবাব দেয়া হবে। 

পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে রাশিয়ার উপরে। রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের মূল্য পরে গেছে। বাধ্য হয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূদের হার দ্বিগুণ করেছে।

ভ্লাদিমির পুতিন তার সর্বশেষ মন্তব্যে ইউক্রেনে কেন রাশিয়া হামলা চালিয়েছে তার পক্ষে যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন। ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় 'বেসামরিকীকরণ ও ইউক্রেনকে নাৎসি মুক্ত' করতে চেয়েছেন, এমনটাই দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন