আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সরকারের ব্যর্থতায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: ফখরুল

আমাদের যুদ্ধ শুরু হচ্ছে, তা বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। আমাদের এই যুদ্ধ আমাদের অধিকারকে ফিরে পাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ হচ্ছে এ দেশের মালিক। তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর 

আজ রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে রাখার দাবিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভোট দিতে চাই, আমরা দেশের মানুষের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চাই। আর তারা (আওয়ামী লীগ) কখনোই এই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে নয়। আজ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে কেন? কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নির্বাচন হলে তারা কখনোই নির্বাচিত হতে পারবে না।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, সরকারের লোকেরা সরাসরি তেলের ব্যবসায় জড়িত বলেই তাদের অতি মুনাফার লক্ষ্যে ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে সরকারের মন্ত্রীরা বড়লোক হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে তখনই, যখন গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারব তখনই, যখন একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। সেই সরকার আসতে হলে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্য কোনো কিছু বুঝি না। একটা নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তার আগে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সেই সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আর এইটাই হবে বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ এর চেতনা বাস্তবায়িত করা।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাদাবী ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন