আর্কাইভ থেকে এশিয়া

মধ্যেপ্রাচ্যে যুদ্ধ: ১১শ’র বেশি নিহত, ইসরায়েলকে রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে বৃষ্টির মতো বোমা ছুড়ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। এছাড়া সঙ্গে ড্রোন ব্যবহার করেও সেখানে হামলা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়ে গেছে, যাদের মধ্যে ৭০০’ই ইসরায়েলি। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণের পর গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ ।

সোমবার (৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আর ইসরায়েলের সেনাদের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হলেও এখনও গাজা উপত্যকার নিকটবর্তী কিছু অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এখন পর্যন্ত তাদের ৭০০ নাগরিক মারা গেছে, যার মধ্যে দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সঙ্গীত উৎসবেই মারা গেছে ২৫০ জনের বেশি। অন্যদিকে ফিলিস্তিন বলছে যে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৪১৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছে এখন পর্যন্ত।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের অন্যতম প্রধান ঘাঁটিতে তারা একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। জাবালিয়া অঞ্চলে হামাসের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপর্ণূ একটি মসজিদ ছিল লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম।

অন্যদিকে হামাসও ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোঁড়া অব্যাহত রেখেছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোর থেকে ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের এ আকস্মিক রকেট হামলা শুরু হয়।

দক্ষিণ ইসরায়েলের কিব্বুতজ রে’ইম অঞ্চলের নেগেভ মরুভূমিতে চলতে থাকা সঙ্গীত উৎসব ছিল স্থল হামলার প্রাথমিক লক্ষ্য। এই ‘সুপারনোভা ফেস্টিভালে’ সশস্ত্র হামাস সদস্যরা হামলা চালায় শনিবার ভোরে।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোরে উৎসব স্থলে কয়েকটি গাড়িতে করে উপস্থিত হয়ে উৎসবে অংশ নেয়া মানুষের ওপর গুলি চালানো শুরু করে হামাস সদস্যরা। এরপর কিব্বুতজ রে’ইমের আবাসিক এলাকাগুলোতেও হামলা চালায় হামাস।

হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের বাহিনীর রকেট হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা উপত্যকার সব ধরনের স্থাপনা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এর মধ্যে ৭৪ হাজার মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে জানানো হয় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে।

গেলো ১৭ বছর ধরে গাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা হামাস বলেছে তারা ‘প্রতিশোধমূলক’ হামলা অব্যাহত রাখবে।

গাজার সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে হামাসের এ হামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

এই হামলা অনেকেই উদযাপন করছেন, আবার অনেকেই দীর্ঘ যুদ্ধের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের সমর্থনে সেদেশের কাছাকাছি রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার ভেতর গাজায় সৈন্য পাঠাবে ইসরায়েল

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, হামলায় তাদের নাগরিকরা নিহত হয়েছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন