আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

শিশুসহ গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৯০

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৭শর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী ৬৯০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৪০টি শিশু এবং ১০৫ জন নারী রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

তিনি জানিয়েছেন, হামলায় আহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭শ জনে।

এদিকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সূত্র বলছে, সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯শ পৌঁছে গেছে। সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার পর এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গেলো শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে আকস্মিক হামলা শুরু করে হামাস। এই হামলায় একদিনেই সাতশর বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।

এরপর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং সাড়ে তিন হাজার নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে। অব্যাহত হামলায় গাজার সড়কগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে ধ্বংসস্তূপ , শহরের বাতাসে কেবল ধূলা আর বারুদের গন্ধ।

বিমান হামলার পর এবার ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলাও চালাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সোমবার তারা তিন লাখ রিজার্ভ সেনা তলব করার কথা জানিয়েছে এবং গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে। সবশেষ চিত্রে দেখা গেছে, ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্স গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে গাজায় খাবার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজা ভূখণ্ড আগে থেকেই প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। সেখানে খাবারসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু পৌঁছানো হয় ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে।

টিআর/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন