আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পদ্মার বুক চিরে ছুটলো ট্রেন

অপেক্ষার পালা অবশেষে শেষ হলো।  স্বপ্নের পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধনের পর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রেন ছুটলো ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশ্য।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পর পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  এরপর শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিজে টিকেট কেটে ট্রেনে উঠেন।

দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী বহররত ট্রেনটি মুন্সিগঞ্জ মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।  ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর দুপুর ২টায় সেখানে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল রুট উদ্বোধন হলেও কিছুদিন পরেই এ রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

গেলো বছরের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর দুই মাস পর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সার্ভিস উদ্বোধন হলো। মোংলা বন্দরকে যুক্ত করায় সদ্য চালু হওয়া এ রেলপথ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পুরো রেলপথ চালু হলে আরো সহজ হবে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রেল যোগাযোগ।

রেল কর্তৃপক্ষ জানান, শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামবে। এগুলো হলো মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর। পাশাপাশি শিগগিরই চালু হবে মুন্সীগঞ্জের নিমতলা স্টেশন।

এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সবকটি রেলস্টেশন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সমাবেশস্থল, উদ্বোধনী ট্রেন সাজানো শেষ হয়েছে।কমলাপুর-গেন্ডারিয়া-ভাঙ্গা জংশন পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

প্রকল্প সূত্র জানায়, আপাতত কমলাপুর স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এজন্য চীন থেকে কেনা নতুন সাতটি কোচের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন, সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এ ছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢুকবে।

টিআর/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন