আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হামাসের ১৫০০ যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার, দাবি ইসরাইলের

ইসরাইলের ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দেড় হাজার যোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এমনই দাবি করেছে। এছাড়া অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে থাকা ইসরাইলি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের দাবিও করেছে তারা। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি ভূখণ্ড থেকে আমরা এ পর্যন্ত দেড় হাজার হামাস সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর)কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা, মার্কিন গণমাধ্যম স্কাই নিউজসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়,ইসরাইল এবং গাজা উপত্যকার আশপাশে প্রায় দেড় হাজার হামাস যোদ্ধার মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।ইসরাইলের সামরিক মুখপাত্র রিচার্ড হেচ্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের ‘সীমান্তে কমবেশি নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে’।এছাড়া গাজা উপত্যকার কাছাকাছি সমস্ত ইসরাইলি সম্প্রদায়কে সরিয়ে নেওয়ার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রিচার্ড হেচ্ট।

প্রসঙ্গত,আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ি আল আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে তারা নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গাজায় অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। শুদু তাই নয়, গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের শহরগুলোতে সামরিক অভিযান দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ভূখন্ডে  ইসরায়েলের  অবৈধ বসতি বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রকেট হামলা চালায় হামাস। আর এর জবাবে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

হামাসের ওই হামলায় নিহত ইসরাইলিদের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে বহু সেনাসদস্য, নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৫০০ ইসরাইলি। অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি।

এই ঘটনায় ইসরাইল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইসরাইলে আরও সামরিক সহায়তার কথাও জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া সোমবার ইসরাইল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপের কথা ঘোষণা করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন