ইইউ পার্লামেন্টকে বাংলাদেশ বিষয়ে তথ্য যাচাইয়ের আহবান
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অনেক বড় বড় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে অনেক নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে। এর পেছনে একমাত্র কারণ হচ্ছে কিছু মানুষ বর্তমান সরকারকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৭তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের জিডিপির গ্রোথ অনেক পশ্চিমা দেশের চেয়ে দ্রুত ও বেশি। এসব খবর কিন্তু প্রকাশ করা হয় না। অধিকারের আদিলুর রহমান নিয়ে এই ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে কথা হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে। অথচ তার শাস্তি হয়েছে দেশের ভেতরে নাশকতা ছড়ানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়। তার দেয়া ভুল তথ্য দিয়ে বিবিসির মতো গণমাধ্যমও ভুল সংবাদ প্রকাশ করেছে। বললেন লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘স্টাডি সার্কেল’-এর সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য মাক্সিমিলিয়ান ক্রাহের আমন্ত্রণে ও সৈয়দ মোজাম্মেল আলীর সভাপতিত্বে পার্লামেন্টের একটি কক্ষে এই সেমিনার হয়। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকার সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা মিশন: সঠিক তথ্য জেনে নেই’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই কথা বলেন তিনি । তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টকে অনুরোধ করেন যেকোনও বিবৃতি দেয়ার আগে সেই তথ্যগুলো যাচাই করে নেয়ার জন্য। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেখানে প্রধান বক্তা ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন বলেন, অধিকারের মতো একটি এনজিও ভুল তথ্য দিলে বাংলাদেশের অনেক প্রধান গণমাধ্যম ফ্যাক্ট চ্যাক না করেই সংবাদ প্রকাশ করেছে। ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বাংলাদেশে নাশকতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ এমইপি বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কটাক্ষমূলক নিউজ হতো। এখন সেই বাংলাদেশ অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার চর্চা, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, দেশের উন্নয়ন, আর্মিকে ব্যারাকে রাখার মতো কাজগুলোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী ড. রায়হান রশীদ বলেন, ভুল তথ্য মানুষকে ভুল পথে ধাবিত করে। ভুল তথ্য কীভাবে গণহত্যার দিকে নিতে পারে সেটার জন্য রোয়ান্ডা আর মিয়ানমারের গণহত্যা দেখলেই বোঝা যায়। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে যা আলোচনা হয় তার মধ্যে অনেক ভুল তথ্য থাকে। এগুলো যাচাই-বাছাই না করেই আলোচনা করা হয় বলে মন্তব্য করা হয়। এসব ভুল তথ্য ছড়ানোর পেছনে দুটি বিষয় অনুসন্ধান প্রয়োজন। এসবের পেছনে কি কোনও ধরনের লবিং মানি ব্যবহার করা হয়? অথবা এসব ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে? বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের।