আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ক্ষমতাসীনরা ‘বাজার সিন্ডিকেট’ করে পকেট ভারী করছে : বিএনপি

বাজার সিন্ডিকেট করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পকেট ভারী করছে বলে অভিযোগ করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আজ বুধবার (৯ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এ অভিযোগ করেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এ বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। কারণ, তাদের নেতারা সিন্ডিকেট করে পকেট ভারী করছে। গত ১০ বছর ধরে ঢাকা শহরের মানুষদের কি যে কষ্ট যাচ্ছে। ১০ টাকার জিনিস ২০ টাকা। জনগণের এই কষ্ট দূর করতে হবে, মা-বোনদের টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার গোটা দেশকে নির্যাতনের কারখানা বানিয়ে ফেলেছে। আপনারা কি সত্যজিৎ রায়ের সেই ‘হীরক রাজার দেশ’ সিনেমাটি দেখেছেন? একটু দেখবেন। হীরক রাজার দেশে এসব ঘটনাই ঘটিয়েছিল রাজা। এক সময় মানুষ ক্ষেপে উঠল। হীরক রাজা একটা বড় মূর্তি বানাল। এটা যেদিন উদ্বোধন করবে সেইদিন সব মানুষ ওই মূর্তিতে দড়ি লাগিয়ে বলল, দড়ি ধরে মার টান, রাজা হবে খান খান।’

‘আমাদেরও দড়ি ধরে টান মারতে হবে। ওদের গদি খান খান করতে হবে, তকতে তাউস ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আসুন, সেই লক্ষ্যে আমরা রাজপথে নেমে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগে বাধ্য করতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিই’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকারকে হটাতে হলে সবাইকে অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে পড়তে হবে। শুধুমাত্র প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করলে সরকার দীর্ঘস্থায়ী হবে, আন্দোলনও দীর্ঘায়ু হবে। আমরা বক্তৃতাও সংক্ষেপ করতে চাই, সরকারের মেয়াদও সংক্ষেপ করতে চাই। আর সেজন্য দরকার কঠোর আন্দোলন, রাজপথের আন্দোলন।’

‘সুতরাং নেতা-কর্মীদের বলব, সরকারকে সব দিক থেকে কাবু করার জন্য যা করা দরকার মনে মনে তা হিসাব-নিকাশ করেন। আন্দোলনের জন্য আপনারা যেদিন পারবেন আমরা সেদিনই আপনাদের সঙ্গে মাঠে নামব’— বলেন গয়েশ্বর।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও সাদরেজ জামানের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, প্রমুখ।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন