আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

গাজায় লাশের স্তুপ, মৃতদেহ রাখার ব্যাগেও সংকট

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ১০ম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২,৭৫০ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৭০০ জনের বেশি। সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে পড়া গাজায় মৃতদেহ রাখার ব্যাগের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে সোমবার (১৬ অক্টাবর) ইসরায়েলি ও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল যে, সকাল নয়টা থেকে যুদ্ধবিরতি হবে। সেই সময় গাজা থেকে বিদেশিরা মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বের হতে পারবেন এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছতে পারবে। তবে খবর প্রকাশের পর এমন তথ্য অস্বীকার করে ইসরায়েল।

এদিকে, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে গাজার হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রস।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরাইলের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের কারণে হাসপাতালগুলোতে ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো জ্বালানি মজুত আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্ব সংস্থাটির মানবিক দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘জেনারটরের ব্যাপকআপ না থাকায় হাজার হাজার রোগীর জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।’

ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ গাজায় সুপেয় পানি ও ত্রাণ সরবরাহ পাঠানোর সুযোগ করে দিতে এর আগে অনুরোধ জানিয়েছিল একাধিক ত্রাণ সংস্থা।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন