আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

১৫’শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ৭৫০ কি.মি. সেচ ক্যানেল

তিস্তা সেচ প্রকল্প উত্তরাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমির তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌছে দিতে ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারী আর টারসিয়ারী সেচ ক্যানেল নির্মানে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। বললেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তরাঞ্চল) জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ।

সোমবার (৮মার্চ) দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার কাদিখোল এলাকার তিস্তা সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন সেচ ক্যানেল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বলেন, প্রকল্পটি একনেকে পাশ হলেই সেকেন্ডারী সেচ ক্যানেলগুলোতে করা হবে সিসি লাইনিং এবং টারসিয়ারী ক্যানেলগুলোতে দেয়া হবে আরসিসি ঢালাই। এতে পানির অপচয় ছাড়াই খুব দ্রুত পানি পৌছে যাবে জমিতে।

পরিদর্শন শেষে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী কৃষকদের সাথে মত বিনিময় করেন প্রধান প্রকৌশলী। এ সময় রংপুরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ স্থানীয় কৃষক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন।

কাদিখোল মেম্বার পাড়া গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, আমি দশ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করছি সাত বছর থেকে। আগে সেচের জন্য ডিজেল ও বিদুৎ চালিত মোটরের সাহায্যে পানি দিতে প্রতি বিঘায় খরচ হতো এক হাজার পাঁচশ’ টাকা। আর এখন তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানিতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৪৮০টাকা। তাছাড়াও পানি পেতে কোন ঝামেলা নেই।

এস ৫ ডি ক্যানেলের পানি ব্যাবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম জানান, তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের সেচ ক্যানেলে সুবিধা দিতে গেলে ক্যানেল নির্মান ও মেরামত করা জরুরী। নতুন নতুন সেচ ক্যানেল নির্মান করা গেলে আমাদের সুবিধাভোগী বাড়বে।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন