আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

বিমান নামতেই বিমানবন্দরে হামলা, ইসরায়েলিদের খুঁজতে তল্লাশি!

বিমান বন্দরে ইসরায়েলের একটি বিমান অবতরণের পরই পাল্টে গেলো বিমানবন্দরের সব দৃশ্য।মুহুর্তেই ঢুকে পড়লো ইসরায়েলবিরোধী ফিলিস্তিনপন্হী বিক্ষোভকারীরা।বিক্ষোভের পাশাপাশি চালায় হামলা। এসময় তারা ইহুদিবিরোধী নানা স্লোগান দেন এবং তেল আবিব থেকে আসা লোকজনের খোঁজ করেন।

টানা তিন সপ্তাহের অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা যেনো মৃত্যুপুরী।বিমান হামলার পাশাপাশি স্থলপথে কামান ও ভারী অস্ত্র দিয়েও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে সেখানে নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে দানা বাঁধছে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশও ঘটেছে এক বিমানবন্দরে। রাশিয়ার দাগেস্তানের ওই বিমানবন্দরে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েল থেকে একটি বিমান পৌঁছানোর পরই ওই  হামলার ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান আসার খবরে দাগেস্তান বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে বিশাল জনতা।বিমানবন্দরে হামলার এই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে দেখা যায়,কয়েকশ বিক্ষুব্ধ লোক বিমানবন্দর টার্মিনালে হামলা চালাচ্ছে।তাদের মধ্যে কিছু লোক ফিলিস্তিনি পতাকা সাথে রেখেছিলেন এবং তারা সবাই  ‘আল্লাহু আকবর ‘ বলে স্লোগান দেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়,রাশিয়ার দাগেস্তানের মাখাচকালার বিমানবন্দরে দৌড়ে প্রবেশ করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তারা তেল আবিব থেকে আসা লোকজনকে খুঁজছিলেন।বিক্ষুব্ধ এসব মানুষের মধ্যে অনেকে দৌড়ে রানওয়েতে চলে যান এবং বিমানটিকে ঘিরে ফেলেন। কিছু বিক্ষোভকারী মাখাচকালার বিমানবন্দরের বাইরে গাড়ি থামিয়ে সেগুলোতে তল্লাশি চালান।

রাশিয়ার এভিয়েশন এজেন্সি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলার এই ঘটনার পর বিমানবন্দরটি আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ‘অস্থায়ীভাবে বন্ধ’ ঘোষণা করেছে।

কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত উত্তর ককেশাসের প্রধানত মুসলিম রাশিয়ান প্রজাতন্ত্র দাগেস্তানে প্রায় ৩১ লাখ মানুষ বসবাস করে। দাগেস্তান সরকার বলেছে, বিমানবন্দরে হামলার ঘটনায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওই হামলার পরেই রাশিয়াকে ‘সমস্ত ইসরায়েলি নাগরিক এবং সমস্ত ইহুদিদের’ রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ইহুদি ও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্ররোচনার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন