আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু

মারা গেছেন শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা সেই দ্বিতীয় মার্কিন নাগরিক। চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পেয়েছিলেন শূকরের হৃদযন্ত্র। তবে পরীক্ষামূলক সেই প্রতিস্থাপন সম্পর্কিত অস্ত্রোপচারের ৪০ দিন পর মারা গেলেন মার্কিন নাগরিক লরেন্স ফসেট। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো ১১ জানুয়ারি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেভিড বেনেটের শরীরে জেনেটিক্যালি রূপান্তরিত শুকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের প্রায় দুই মাস পর তিনি মারা যান।

স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ অক্টোবর) মারা যান লরেন্স ফসেট। ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার দেহে জিনগতভাবে বা জেনেটিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শূকরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল। ২০ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের পর প্রথম কিছু দিন তিনি সুস্থ থাকলেও সম্প্রতি হৃদযন্ত্রের কাজে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। অস্ত্রোপচারের পর দেড় মাস বা ছয় সপ্তাহ তিনি সুস্থ থাকলেও সোমবার মারা যান।

অস্ত্রোপচারের পর ফসেটের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়। ফিজিক্যাল থেরাপির পাশাপাশি আনন্দদায়ক সময় কাটাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। স্ত্রী অ্যানের সঙ্গে তাসও খেলছিলেন। সম্প্রতি তার দেহে প্রতিস্থাপিত হৃদযন্ত্র প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যানের নির্দেশ পাঠাতে শুরু করে। এই প্রতিকূলতা চিরাচরিত মানবঅঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও থাকে। চিকিৎসকদের আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও তার মৃত্যু হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন