আর্কাইভ থেকে জনদুর্ভোগ

নাশকতা ঠেকাতে মাঠে ৬৫ হাজার আনসার

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি বিরোধী দলের ডাকা টানা দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে। এই অবরোধেও সরকার রেল, সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে চায়। এজন্য সারাদেশে ‘অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াত’ স্লোগানে ৬৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পুলিশ-র‌্যাবসহ নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি তারাও নাশকতা ঠেকাতে কাজ করবেন।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আগামীকাল ৫ নভেম্বর সকাল থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দিন রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা মোতায়েন থেকে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাট ছাড়াও রেললাইনে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্কভাবে দৃষ্টি রাখবেন। রেললাইন রক্ষায় সারাদেশে ১৪৭৬টি পয়েন্টে ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।

এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পাঁচ হাজার ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার নিজেদের দায়িত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও আশেপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, টানা কয়েক মাস ধরে এক দফার দাবিতে আন্দোলন করে আসা বিএনপি গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এতে সারাদেশ থেকে দলটির লাখো নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন। তবে মহাসমাবেশের শুরুতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হন। এক যুবদল নেতাও মারা যান।

এদিকে হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সারাদেশে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মারা যায় বেশ কয়েকজন। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েক ডজন গাড়ি। এই অবস্থায় সরকার নাশকতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা ভাবছে। অবরোধ সত্ত্বেও জনজীবন যেন স্বাভাবিক থাকে সরকারের সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই ৬৫ হাজার আনসারকে মাঠে নামানোর উদ্যোগ নেয়া হলো।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন