ডিম নিয়ে কেউ কেউ খেলতে চায়, আমরাও খেলবো: পরিকল্পনামন্ত্রী
এতো আলু দেশে উৎপাদন হয়, অথচ এই আলুকে নিয়ে কিছু কিছু লোক খেলা খেলতে চেয়েছিল। আমরা আলু ইমপোর্ট (আমদানি) করছি। আলুর দাম কমবে। ডিম নিয়ে কেউ কেউ খেলতে চায়, আমরাও খেলবো। আমাদের খেলা হবে ইমপোর্ট করা, নিয়ে আসা।’ বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
রোববার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি আমরা চাই না। সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
এম এ মান্নান বলেন, ‘একযোগে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার হওয়ার ফলে নতুন ক্রেতা, নতুন ভোক্তা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। সাপ্লাইটা (সরবরাহ) সেই পরিমাণে হয়নি। এ জন্য একটু সমস্যা হচ্ছে।’
মূল্যস্ফীতি সকল দেশেই আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী ভারতে এখন মূল্যস্ফীতি আট শতাংশ। ইংল্যান্ডে ৯ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি আছে। এটার মানে এটা নয় যে মন্দ দিয়ে ভালোর কোনো উদাহরণ হয় না। মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছি আমরা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য, নিম্ন আয়ের মানুষ। কম আয়ের মানুষ। এ জন্য আমরা এক কোটি পরিবার, এক কোটি পরিবার মানে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ। তাদের জন্য আমরা রেশনে ন্যায্যমূল্যে খাবার দিচ্ছি। সব মিলিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট যাতে লাঘব হয়, ট্রাকে করে মাল বিক্রি করছি যাতে আপনি লাইন দিয়ে কষ্ট করে কিনতে পারেন। এর ফলে মূল্যস্ফীতির ছোবলটা কিছুটা নিচের দিকে থাকছে। এটা না হলে বিশ্বাস করেন আমার কথা, মূল্যস্ফীতি ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে উঠতো।’
মূল্যস্ফীতি কমানোর আশার কথা জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা এটাকে আরও কমাবো। এখন অগ্রায়ণ মাস, দেখলাম ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। আর ২০-২২ দিন। আমার ধারণা, গত দুই মাসে সামান্য মূল্যস্ফীতি যেটা বেড়েছে সেটা নামার শুরু হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
মূল্যস্ফীতি বাড়ায় দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারও বাজারে ঢুকবে মাল নিয়ে, যাতে করে সাধারণ ক্রেতারা কম দামে কিনতে পারে। এভাবেই চলছে। তবে, হ্যাঁ আমরা দুঃখিত, মানুষের কষ্টে আমরাও কষ্ট ভোগ করি।