আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পুরো দেশে র‌্যাবের ৪৬০ টহল টিম

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪৬০টি টহল টিম মাঠে নামিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

সোমবার (০৬ নভেম্বর) সকাল র‌্যাবের সদর দপ্তরের থেকে মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে এক খুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তাতে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‍্যাবের ১৬০টি টহল দলসহ সারাদেশে ৪৬০টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে। তারা বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে টহলরত অবস্থায় আছেন।

উল্লেখ্য, গেলো ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো। ওই দিন দুপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে সেটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়।

একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এতে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটে।

২৯ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে বিএনপি। একই দিন গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে। এছাড়া পুলিশি অভিযান চালানো হয় দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসা-বাড়িতে। পরদিন মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। রোববার (৫ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার প্রথম দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯টি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন