আর্কাইভ থেকে আমদানি-রপ্তানি

কমেছে ডিম-আলুর দাম

পাইকারিতে কমতে শুরু করেছে ডিম-আলুর দাম। ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ার পর থেকেই এই দুই পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মুন্সীগঞ্জের লাল ও সাদা উভয় প্রকার আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকায়। রাজশাহীর আলুর দাম একটু বেশি, বিক্রি হচ্ছে লাল সাদা আলু ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা কেজিতে। যদিও খুঁচরা বাজারে আলুর দাম এখনও সেভাবে কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।

আলুর পাশাপাশি আড়তে কমছে ডিমের দাম। রাজধানীর কাপ্তানবাজারে পাইকারিতে লাল ডিম প্রতিটি ৯ টাকা ৭০ পয়সা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৩০ পয়সায়। এক দিনে দাম কমেছে প্রতিটি ২০ পয়সা। যদিও খুচরাই এখনও ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকায়।

এর আগে ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে দুই দিনে ৪৯ হাজার ৭৫৫ টন আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ৩০ অক্টোবর সরকার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর দাম ঠিক করে দেয় সরকার। সে সময়ে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর যৌক্তিক দাম ১৪ টাকা ১৭ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৭ টাকা ৬৩ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা ৮৭ পয়সা ঠিক করা হয়।

নির্ধারিত মূল্যে আলু বাজারে বিক্রয় হচ্ছে, কিনা তা মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রয় হচ্ছে না বলে জানানো হয়।

ক্রমাগত দাম চড়তে থাকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। শুরুতে চার কোটি টিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, প্রথমে অল্প পরিমাণে ডিম আমদানি করা হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন