৪৮৪টি সরকারি দফতরের ওয়েবসাইট
ভিজিটর ও কন্টেন্ট আপলোড বেড়ে যাওয়ায় সার্ভারের ত্রুটির কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতরের ৪৮৪টি ওয়েবসাইট বন্ধ রয়েছে। তবে সার্ভার সম্প্রসারণের কাজ শেষে আগামী দুদিনের মধ্যে ওয়েবসাইটগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে ওয়েবসাইটগুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অতি সংবেদনশীল বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলোর সার্ভারেও সমস্যা দেখা দেয়ায় তা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এটুআইর কর্মকর্তাদের তড়িৎ পদক্ষেপে আপাতত সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর-অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। তবে এখনও দফতর-অধিদফতর ও সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। শুক্রবার খাদ্য অধিদফতর, তথ্য অধিদফতর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায়নি।
এটুআইর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা আরফী এলাহী বলেন, ‘এটু্আইর অধীনে সরকারি মোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা ৩৩ হাজার। এর মধ্যে ৪৮৪টি সাইট যে সার্ভারে রয়েছে সেটি বেহাল হয়ে যাওয়ার কারণে ক্যাপাসিটি এনহেন্সমেন্টের জন্য আমরা গত তিনদিন ধরে কাজ করছি। কাজ মোটামুটি শেষ, আশা করছি ওয়েবসাইটগুলো ধীরে ধীরে চালু হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘৬২টি ওয়েবসাইটকে আমরা একটু সংবেদনশীল মনে করি, যেমন- প্রধানমন্ত্রীর অফিস, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের ওয়েবসাইট। গত ৩/৪ দিন আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ অতি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইগুলোর সমস্যা হয়েছিল। সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে ইতোমধ্যে। তারা একদিন সমস্যার মধ্যে ছিলেন। এই সাইটগুলো আমরা ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছি।’
‘বাকি আছে আরও ৪৮৪টি ওয়েবসাইট, সেগুলো ঠিক করতে আমাদের আরও একদিন সময় লাগবে।’
প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা আরও বলেন,আমাদের সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলো দুটি স্থানে হোস্টেড, একটি হচ্ছে ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, আরেকটি হচ্ছে বিটিসিএলের ডাটা সেন্টার। যে সাইটগুলো ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে আছে, এখন আমরা বিটিসিএলের কয়েকটি সার্ভার অ্যাড করে দিচ্ছি। নতুন সার্ভার যুক্ত করার কারণে ওয়েবসাইটগুলো একেবারে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আশা করছি, আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে সব স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
বন্ধ হওয়া ৪৮৪টি ওয়েবসাইটের মধ্যে মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, দফতর, করপোরেশন, কমিশনের ওয়েবসাইট রয়েছে বলে জানান আরফি এলাহী।
এস