ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চায় বাংলাদেশসহ ৫ দেশ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের এবং উপত্যকার সার্বিক পরিস্থিতির তদন্ত চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশসহ ৫টি দেশ। অন্য দেশগুলো হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) পোস্টে এক বিবৃতিতে এ খবরটি নিশ্চিত করেছেন আইসিসিরি প্রসিকিউটর করিম খান।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ফিলিস্তিনের বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতিতে আইসিসি যেন জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দেয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ জুনে তদন্ত চালিয়ে আসছে আইসিসি। ফলে শুক্রবার বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ যে আবেদন জমা দিয়েছে, বাস্তবে সেটির প্রভাব হবে সীমিত।
আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, গেলো ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনাও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।
করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সংবিধি অনুযায়ী কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি বাইরের কোনো রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় এবং ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না ও হয়, তাহলেও ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি।
আইসিসির প্রসিকিউটরের দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে এবং ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের ‘উল্লেখযোগ্য তথ্য ও প্রমাণ’ তারা এরইমধ্যে সংগ্রহ করেছে।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। এ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি।অপরদিকে ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির সদস্য ফিলিস্তিন। সে কারণেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল আইসিসি।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় জড়িত জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর যুদ্ধসহ কোনো অবস্থায়ই হামলা করা যায় না। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত গাজার ১৫ হাজারেরও বেশি জায়গায় হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনো অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। হামলায় ইতোমধ্যে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি নারী ও শিশু।