মধ্যবয়সের নাদুসনুদুস ভুঁড়ি যে বড় চিন্তার ইঙ্গিত
একটা বয়সের পর পেটে মেদ জমবেই সেই যতই শরীরচর্চা করুন না কেন। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মধ্যবয়সে পেটের এই বাড়তি মেদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুর রোগ অ্যালঝাইমার্স। ‘এজিং অ্যান্ড ডিজিজ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তথ্যটি। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন-এর সহকারী অধ্যাপক, চিকিৎসক সাইরাস রাজি এবং তার দল এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৪০-৬০ বছর বয়সি প্রায় ৫০ জন।
গবেষেকেরা বলছেন, পেটের পেশির তলায় জমা মেদের সঙ্গে সরাসরি ইনসুলিনের কোনো যোগ নেই। কিন্তু এ কথা প্রমাণিত যে পেটে মেদের পরিমাণ বাড়তে থাকলে, শরীরে ইনসুলিন ক্ষরণ বা উৎপাদনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। যা শরীরে, মস্তিষ্কে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
ফ্লোরিডার এক চিকিৎসক জানান, “অনেকেই মনে করেন, ভুঁড়ি আকারে-আয়তনে বাড়তে থাকলে মস্তিষ্কে স্মৃতির ভান্ডার ক্রমশ ছোট হতে থাকে। এই ধারণা যে সত্যি, তা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু দেহের অন্যান্য অংশে জমা মেদের সঙ্গে অ্যালঝাইমার্সের যোগ ঠিক কোথায়, তা এর আগে জানা যায়নি।”
সাইরাস বলেন, “যাদের পেটে মেদ রয়েছে, তাদের শরীরে অ্যামলয়েড নামক একটি প্রোটিনের অস্বাভাবিক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এই অ্যামলয়েড নামক প্রোটিনের সঙ্গে কিন্তু অ্যালঝাইমার্সের যোগ রয়েছে।” গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্যবয়সে পুরুষদের পেটে মেদ জমার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কিন্তু মহিলাদের তুলনায় পুরুষদেরই বেশি।