বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৫
অজ্ঞাত ফোন কলে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করে এমন সঙ্ঘবদ্ধ আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, সিলেটের একজন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম (৪৯) এর কাছে অজ্ঞাত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল আসলে কথাবার্তার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে একটি সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। তারা কম দামে ডলার বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে চেতনা নাশক খাইয়ে বাইরে ডলার আর ভেতরে সাদা কাগজের বান্ডেল বুঝিয়ে দিয়ে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলে, তিনি বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ৪০৬,৪২০,৩২৮,৫০৬,৩৪ ধারায় ২২ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানার ৬নং মামলা দায়ের করা হয়।
জগন্নাথপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুভাশীষ ধর এবং জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় ও সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে জগন্নাথপুর ও কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সদরের কেশবপুর গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (৫০), একই উপজেলার ইসহাকপুর গ্রামের মকতুল হোসেনের মেয়ে সমলা বেগম (৪০) একই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার মেয়ে নেছাফুল বেগম (৬০), নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার ফেরীরচর গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে আবুল মিয়া (৫০) একই জেলার মিঠামইন উপজেলার ডোহাজোড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে আনারকলি (৩০)। তাদের নিকট হতে নগদ অর্থ সহ মামলার বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনজার্চ মো. মিজানুর রহমান জানান, অজ্ঞাত ফোনকলে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করে এমন সঙ্ঘবদ্ধ আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রকে আমাদের থানা পুলিশকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।