আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ওসির বিরুদ্ধে চোরাকারবারিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

মোংলা থানার ওসির বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে চিহ্নিত চোরাকারবারিকে আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহরের রিজেকশন গলি থেকে মোংলা বন্দরে নদী খননের কাজে নিয়োজিত একটি বিদেশি ড্রেজার থেকে রং পাচারের অভিযোগে পুলিশ মানিক (৪০) ওরফে সোনা মানিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এরপর থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে শহরের প্রভাবশালী চোরাই সিন্ডিকেট চক্রের তোড়জোড় শুরু হয়। একপর্যায় মোটা অংকের টাকার রফাদফায় রাত আড়াইটাই তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানিককে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। মোটা অংকের টাকা দিয়ে রাত ২ টায় তাকে ছাড়িয়ে আনি।

তবে মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, রং পাচারের ঘটনায় সোনা মানিকের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়ছে। কিন্তু শুক্রবার রাত ১০ টায় তিনি কয়েকজন সাংবাদিকদের বলেন, রং পাচার চক্রের সাথে জড়িত আটক দুই ব্যক্তির স্বীকারোক্তি মতে সোনা মানিককে আটক করেছেন। এঘটনায় তার নামে মামলা হবে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সুর পাল্টে ওসি আগের বক্তব্য থেকে সরে আসায় শহরে ওসির বিরুদ্ধে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে মোংলা বন্দরের নৌ চ্যানেল খনন কাজে ব্যবহৃত চায়না ড্রেজারের ব্রিজ রুম থেকে গেলো ২ এপ্রিল ৯৭ ট্রাম রং চুরির ঘটনায় ৯ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে থানায় মামলা হয়। নয়জনকে আসামি করে মামলাটি করেন চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের স্থানীয় প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার এম রাউফুল ইসলাম। মামলা নম্বর ৬।

মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত চায়না ড্রেজার থেকে রং পাচারের একটি সিসিটিভির ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সে অনুযায়ী এই চক্রের দুই সদস্য হৃদয় বিশ্বাস (১৯) ও মোঃ নাসির তালুকদার (৪৬) কে গ্রেপ্তারর করা হয়েছে। তারা ওই মামলার আসামি। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

এদিকে এই রং পাচারের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আটক সোনা মানিককে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ওসি মনিরুল বলেন, থানায় আসেন কথা বলবো। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন